價格:免費
更新日期:2018-12-16
檔案大小:3.4M
目前版本:1.2.3
版本需求:Android 4.4 以上版本
官方網站:http://www.itjogot.com
Email:developer@itjogot.com
এই পৃথিবিতে সন্তানকে নিয়ে যারা সব চেয়ে বেশি চিন্তা করেন, তারা হলেন বাবা-মা। আর বাবা-মার এই চিন্তা লেগে থাকে কিভাবে তার শিশুর মেধা ও বিকাশ বৃদ্ধি হবে। শিশুর কিছু নিয়মিত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার দৈহিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে থাকে। তবে এটাও ঠিক, সব খাবারে একই পুষ্টিগুন থাকে না, এমন কিছু খাবার আছে যার মধ্যে অনেক বেশি পুষ্টিগুন বিদ্যমান। যা শিশুর মস্তিষ্ক সক্রিয় ও সতেজ রাখে। আর মস্তিষ্ক সক্রিয় এবং সতেজ থাকলে শিশুর মেধা ও বুদ্ধি বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। যেহেতু শিশুদের বেড়ে ওঠায় কিছু খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। সেহেতু আমাদের মনে রাখতে হবে সেই খাবারগুলো শিশুদের যাতে বেশি করে দেওয়া যায়। আর এই বিষয়ও দেখতে হবে যে ছোট বাচ্ছাদের পাকস্থলী ছোট থাকে তাই তাদের পেট অল্পতেই ভরে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে অল্প পরিমাণ খাদ্য দিয়ে কিভাবে বেশি করে পুষ্টি দিতে পারেন। পনির প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি দুধজাতীয় খাবার। এতে আছে প্রচুর আমিষ এবং ক্যালসিয়াম, যা সুস্থ হাড় ও দাঁতের জন্য আবশ্যক। একই সাথে পনির মুখের ভেতর যে অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী, সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। সুতরাং এই খাবার শিশুর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর সব চেয়ে বড় কথা মস্তিষ্ক মানবদেহের অন্যান্য অংশের বিকাশ ও সঠিক পরিচালনা অনেকাংশেই নির্ভর করে। তাই শিশুকালেই এই অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির উপযুক্ত বিকাশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সন্তানকে কোন খাবারগুলো খেতে দেয়া বেশি দরকার।
ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল বা কর্নফ্লেকস
শিশুদের দিন শুরু করার ভাল একটি উপায় হলো এক বাটি সিরিয়াল দেওয়া। তবে সাবধান হতে হবে কারন বাচ্চারা যে সব সিরিয়াল পছন্দ করে বা খায় তার উপাদানের প্রায় ৫০ শতাংশ জুড়েই থাকে চিনি। এই সিরিয়ালগুলো অনেক বেশি প্রসেসিংয়ের মধ্য দিয়ে যায়। যার ফলে এগুলোতে ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে খুবই কম আর লবণ থাকে প্রচুর। ওইসব ক্ষতিকর সিরিয়াল বাদ দিয়ে কর্নফ্লেকস, উইটাবিক্স, গ্র্যানোলা, মিউজলি এবং পরিজের মতো সিরিয়ালগুলো খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। আপনার সন্তান যদি তার এই সিরিয়ালের বাটিতে আলাদা চিনি মেশায়, তাও ওই চিনিভরা সিরিয়ালগুলোর চেয়ে অনেক অনেক কম চিনি থাকবে।
ডিম
ডিম খাওয়া নিয়ে প্রায় শিশুদেরই নাই থাকে। তবে না খেতে চাইলেও শিশুকে প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খাওয়াতে চেষ্টা করতে হবে। কারণ গবেষণায় দেখা যায়, যারা প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খায় তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের তুলনায় অন্তত ৭০% বেশি ভালো থাকে। ডিমে রয়েছে প্রচুর আয়রন। যা লোহিত কণিকা তৈরি করে রক্তের উপাদানে সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ হয়। যা চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা বাড়াতেও সাহায্য করে।
কিউই
একটি কিউইতে একটি কমলার প্রায় দ্বিগুণ ভিটামিন সি থাকে, যা পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের একদিনের ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণে সক্ষম। ভিটামিন সি খাদ্য থেকে দেহে আয়রন শোষণের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি দেহে জমা থাকতে পারে না। তাই শিশুদের প্রতিদিনই কিউই বা ভিটামিন সি’তে ভরপুর অন্য খাবার খেতে দিতে হবে।
কলা
কলা এমন একটি ফল, যাতে আছে প্রচুর পরিমাণে বলকারক কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। সকালে নাস্তার কিছু সময় পর হালকা স্ন্যাক হিসেবে একটি কলা খেলে আপনার বাচ্চাটি পুরোটা সকাল জুড়েই তার শক্তি ধরে রাখতে পারবে। ফলে যে কোনো কাজে তার মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতাও বাড়বে। তাই টুকিটাকি স্ন্যাক হিসেবে সন্তানের ব্যাগে চিপস বা বিস্কিটের প্যাকেটের বদলে একটি কলা দিয়ে দিন।
শুকনো ফল
যে সব ফল শুকিয়ে রাখা যায় সেগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এগুলো হলো ব্যাপক শক্তির উৎস। তাই শিশুদের শুকনো ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। তাহলে শিশুর মেধা বিকাশে অনেক প্রসারতা লাভ করবে। তাই মাদের উচিত চকলেট খেতে না দিয়ে শুকনা ফল দেওয়ার অভ্যাস করানো। এতে শিশুর দাঁতও ভাল থাকবে।
পনির
ফ্যাট কম, ফাইবার বেশি – এ ধরণের খাদ্য গ্রহণের গাইডলাইন বড়দের জন্য, ছোটদের জন্য নয়। শিশুদের বর্ধিষ্ণু দেহের জন্য দরকার তুলনামূলক বেশি ফ্যাট ও কম শর্করা। এতে তারা দেহে বেশি শক্তি পায় এবং বিভিন্ন কাজ অনেক ভালোভাবে করতে পারে।
বাদাম
শিশুকে প্রতিদিনই কয়েকটি করে বাদাম খেতে দিন। কারণ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ‘ই’ যা মস্তিষ্কের সমন্বয় সাধনের ক্ষমতা বাড়ায়। কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, চীনাবাদামসহ যে কোনো ধরনের বাদামই শিশুর মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়ক।
আখরোট
মস্তিষ্কের জন্য আখরোট খুবই উপকারী। এতে বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি শিশুসহ সব বয়সীদেরই মস্তিষ্কের যে কোনো রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। রাখে।